ads

কোন কোন গাছে কি কি উপকারিতা

 কোন কোন গাছে কি কি উপকারিতা

কোন কোন গাছে কি কি উপকারিতা
 কোন কোন গাছে কি কি উপকারিতা 

  • শীতের  সকালে সবাই কে জানাই স্বাগতম। আমরা অনেকেই আছি যারা গাছ পাতা উপকারিতা জানি না তাই আজকে আপনাদের কে উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো  আপনারা  নিজে সুন্দর করে একটু পড়ে জেনে নিন।


 কোন গাছে কি কি ঔষধ হয় কোন গাছের কি উপকারিতা কখন কখন তা খেতে হয় কি ভাবে শেবন করলে হয় এই সব কিছু জানাবো আজকের এই সংলাপের মাধ্যে।  

 বহুকাল ধরে গ্রামে গঞ্জের মানুষ ঔষুধ হিসাবে গাছ,লতা,পাতা ব্যবহার করে আসছেন। অনেক গাছ পালা,লতা-পাতায় রয়েছে ভেজষ ঔষধী গুণ।এখানে 

মেন্দ,বনধনে,ভাটফুল,নিম,তুলশী,চিরতা,পাথরকুচি,তোকমা,কেশরাজ.বসাক ও জবা এর ঔষধী গুণ তুলে ধরা হলো।  


বনধনে,ভাটফুল,নিম,তুলশী,চিরতা,পাথরকুচি,তোকমা,কেশরাজ.বসাক ও জবা এর ঔষধী গুণ তুলে ধরা হলো।  


১. মেন্দাঃ


এই গাছটি বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে চাপাইত্তা, কারজুকি, রতন, খারাজুরা নামেও পরিচিতি রয়েছে।  পেটের পীড়া, রক্ত-আমাশা হলে পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা খাওয়া হয়।  ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এ গাছ কার্যকর ভূমিকা রাখে।এই গাছের বাকল ও পাতা উভয়ই ব্যবহার করা হয়। একসময় হাড় ভেঙ্গে গেলে ছালের মিশ্রণ স্থানীয়ভাবে প্লাস্টারিংয়ে ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় বুকের ব্যথার জন্য মালিশ করা হয়।


২. বনধনেঃ


পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে  এ গাছটি কার্যকর। ঘা-পাঁচড়ার ক্ষেত্রে পাতার মিশ্রণ লাগানো হয়।


৩. ভাট ফুল বা বনজুঁইঃ


ভাট ফুল বা বনজুঁই কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। যাদের চর্ম রোগ রয়েছে, তারা এই ফুলের রস মালিশ করে উপকার পেয়েছেন।


৪. নিমঃ


ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেকে নিমের পাতা শুকিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট বানিয়ে সকাল বিকেল খেয়ে থাকেন।  বহুকাল থেকে চিকেন পক্স, চামড়ার অ্যালার্জির মতো সমস্যায় নিমের পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পোকা মাকড়ের কামড়ের ক্ষত হলে, সেখানে নিম আর হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগানো হয়। দাঁতের ব্যথার জন্য নিমের ডালের রস ব্যবহার করা হয়।


৫. তুলসীঃ


 তুলসী বাংলাদেশের অনেকের কাছেই একটি পরিচিত নাম। বিশেষ করে গ্রামের অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। সর্দিজনিত রোগে এই গাছটির পাতা খাওয়া হয়। অনেকে চায়ের সঙ্গেও ভিজিয়ে খান। বলা হয়ে থাকে, তুলসী পাতা ভেজে ঘি দিয়ে নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।


৬. চিরতাঃ


এটি অনেক স্থানে কালমেঘ নামেও পরিচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা খেয়ে থাকেন। পাতাগুলো গুড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অনেকে খান। পেট খারাপ, ডায়রিয়া, জ্বর ও বাত ব্যথার ক্ষেত্রে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া হয়।


৭. পাথরকুচিঃ


গ্রামে একটা প্রচলিত ধারণা আছে, পাথরকুচি কিডনির পাথর ভাঙ্গতে সহায়তা করে, যদিও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবহারকারীরা গবেষকদের কাছে বলেছেন, জ্বর ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় পাথরকুচির পাতা বেটে খেয়ে তারা উপকার পেয়েছেন। চামড়ার অ্যালার্জির জন্যও এটি বেটে ব্যবহার করা হয়। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় পাথরকুচির পাতার রস ব্যবহার করা হয়।


৮. তকমাঃ


হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে।


৯. কেশরাজ বা কালোকেশীঃ


ভারত উপমহাদেশে বহুকাল ধরেই চুলের যত্নে এই গুল্মজাতীয় গাছটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। ড. তাহমিনা হক বলছেন, গবেষণার সময় অনেকে বলেছেন, মেয়েদের মাসিকের সমস্যায় অনেকে পাতার রস খেয়ে থাকেন। ঠাণ্ডার জন্য, ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়।


১০. বাসকঃ


ঠাণ্ডার জন্য, ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়। শ্বাসনালীর সমস্যায় লালাগ্রন্থিকে বাসকের রস সক্রিয় করে বলে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে। তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি ভাব হতে পারে।


১১.জবাঃ


পেট খারাপের জন্য জবা গাছের পাতা ও ফুল গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়।


পেট খারাপের জন্য জবা গাছের পাতা ও ফুল গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

 

Post a Comment

0 Comments